ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ড স্বীকৃতিপ্রাপ্ত উত্তর টাঙ্গাইল এর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১৯৯১ সালের ৩০ মার্চ রোজ শনিবার সকাল ১০০০ ঘটিকায় স্টেশন কমান্ডার কর্নেল (পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার) এনায়েত হোসেন, পিএসসি অত্র সেনানিবাসের অভ্যন্তরে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
১৯৯১ সালের ০৬ এপ্রিল রোজ শনিবার স্টেশন কমান্ডার কর্নেল এনায়েত হোসেন, পিএসসি এর সভাপতিত্বে ০৯ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে ১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষ হতে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট কলেজ চালু করা হয়। পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভাপতি কর্নেল এনায়েত হোসেন, পিএসসি।
১৯৯১ সালের ১৫ এপ্রিল কলেজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তদানীন্তন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান লেঃ জেনারেল এম নুর উদ্দীন খাঁন, পিএসসি সেনাসদর থেকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা এবং সাভার অঞ্চলের জিওসি মেজর জেনারেল রফিকুল ইসলাম, পিএসসি এরিয়া সদর দপ্তর থেকে ০৩ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন।
১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষ থেকেই কলেজ চালু করার জন্য ১৮ জুন ১৯৯১ তারিখে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১১ আগস্ট ১৯৯১ তারিখে ডক্টর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান খান কে অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ করা হয়।
১৯৯১-৯২ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগে ১৫০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের দুইটি কক্ষে একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার শ্রেণি কার্যক্রম চালু করা হয়।
১৯৯২ সালের ১৪ নভেম্বর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের দ্বিতীয় তলার উপর তৃতীয় তলা নির্মাণ করে কলেজ শাখার একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির কার্যক্রম শুরু করা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠানের তদানীন্তন সভাপতি ব্রিগেডিয়ার দানিয়াল ইসলাম, এনডিইউ, পিএসসি প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রথম একটি লোগো অনুমোদন করেন।
১৯৯৩ সালে প্রথমবারের মতো ১২২ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৩ জন ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হয় এবং পাশের হার ছিল ৬৪%।
১৯৯৬ সালের ০২ মার্চ প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ক্যাম্পাসে, ইঞ্জিনিয়ার ইন চীফ শাখা কর্তৃক দ্বিতীয় তলাবিশিষ্ট একটি বিজ্ঞান ভবন এবং ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক তৃতীয় তলাবিশিষ্ট আরো একটি বিজ্ঞান ভবন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে এ ভবন দুটিতে তদানীন্তন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার দানিয়াল ইসলাম, পিএসসি ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ এর শুভ উদ্বোধন করেন। এ পর্যায়ে কলেজ শাখার সাথে নার্সারি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম চালু করা হয়। ১৯৯৬ সালে নার্সারি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২০০ জন।
১৯৯৭ সালে ৬ষ্ঠ ও ৯ম শ্রেণি এবং পরবর্তী বছর থেকে ক্রমান্বয়ে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত চালু করা হয়। ১৯৯৯-২০০০ শিক্ষাবর্ষে কলেজ শাখায় মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার সাথে ব্যবসায় শিক্ষা শাখা চালু করা হয়। এরই মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ (নার্সারি-দ্বাদশ শ্রেণি) পরিপূর্ণতা লাভ করে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় স্কুল শাখায় ৩০০ জন এবং কলেজ শাখায় ৪৫০ জন।
১৯৯৭ সালে ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১৩ জন স্টার মার্কস ও ৯৮ জন ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হয় এবং পাশের হার ছিল ৯০.৮০%। এইচএসসি পরীক্ষা ১৯৯৭ এ জাহানারা বেগম ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে মানবিক বিভাগ থেকে সম্মিলিত মেধা তালিকায় ১৯তম ও মেয়েদের মধ্যে ১৩তম স্থান অধিকার করে।
১৯৯৯ সালে প্রথমবারের মতো ১৭ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ০৫ জন স্টার মার্কস ও ১৫ জন ১ম বিভাগে উত্তীর্ণ হয় এবং পাশের হার ছিল ৯৪.৩০%।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০০১ এ অত্র প্রতিষ্ঠানের কলেজ শাখা জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের গৌরব অর্জন করে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নিকট থেকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান এর ক্রেস্ট গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন অধ্যক্ষ জনাব গোলাম রব্বানী।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০০৩-এ অত্র প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখা জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের গৌরব অর্জন করে।
২০০৪ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখা এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ এবং শতকরা পাসের হার বিবেচনায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সেরা দশ স্কুলের মধ্যে ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে।
২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠানের তদানীন্তন প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেজর জেনারেল মুহাম্মদ ইশতিয়াক, এনডিসি, পিএসসি, জিওসি, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, ঘাটাইল এরিয়া এর নির্দেশনা মোতাবেক বর্তমান ক্যাম্পাসে ০৪ তলাবিশিষ্ট কলেজ ভবন নির্মাণ করে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড হাই স্কুলের উপর থেকে কলেজ স্থানান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের উভয় শাখার শিক্ষা কার্যক্রম একই ক্যাম্পাসে শুরু হয়।
২০০৯-১০ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গনের পূর্বপার্শ্বে চতুর্থ তলা ভিতবিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের প্রথম তলা নির্মাণ করা হয়। একই সময়ে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে এ ভবনের উপর দ্বিতীয় তলা নির্মাণ করা হয়। ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম আবদুর রহমান, এনডিসি, পিএসসি এ ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন।
২০১০ সালে গণিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় আন্তঃ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ-এ স্কুল শাখা ১ম স্থান ও কলেজ শাখা ১২তম স্থান এবং সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় আন্তঃ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মধ্যে স্কুল শাখা ২য় ও কলেজ শাখা ৭ম স্থান অর্জন করে।
২০১২ সালে শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতা পূরণের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানের তদানীন্তন প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেজর জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এনডিইউ, পিএসসি এর পরামর্শক্রমে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্মিত ৩য় তলা একাডেমিক ভবনের উপর ইন্ডাস্ট্রিয়াল সীটের ছাউনী দিয়ে ৪র্থ তলা নির্মাণ করা হয়।
২০১২ সালে বাংলাদেশের সকল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মধ্যে সার্বিক বিবেচনায় অত্র প্রতিষ্ঠান ৪র্থ স্থান অর্জন করে।
২০১৩ সালে আন্তঃ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অত্র প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখা ১ম স্থান অর্জন করে।
২০১৪ সালে গণিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় আন্তঃ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ-এ স্কুল শাখা ৮ম স্থান ও কলেজ শাখা ১২তম স্থান এবং সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় আন্তঃ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মধ্যে স্কুল ও কলেজ উভয় শাখা ২য় স্থান অর্জন করে।
২০১৯ সালে অত্র প্রতিষ্ঠান আন্তঃ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতায় স্কুল শাখা ১ম স্থান ও কলেজ শাখা ৪র্থ স্থান এবং গণিত অলিম্পিয়াড প্রতিযোগিতায় স্কুল শাখা ৬ষ্ঠ স্থান ও কলেজ শাখা ১০ম স্থান অর্জন করে।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯ এ অত্র প্রতিষ্ঠান একাডেমিক ফলাফল ও সার্বিক বিবেচনায় টাঙ্গাইল জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ-এর অনুকূলে ৭০১৬ প্রকল্পের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক চতুর্থ তলা ভিতবিশিষ্ট ভবনের নিচতলার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হলে উক্ত ভবনে প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে আধুনিক জীববিজ্ঞান ও রসায়ন ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ভবনটিকে বিজ্ঞান ভবন হিসেবে নামকরণ করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে এ ভবনের শুভ উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের তদানীন্তন প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম, বিপি, ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি, জিওসি, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, ঘাটাইল এরিয়া। এ বছরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে ২৫০০ এ উন্নীত হয়।
২০২০ সালে বাংলাদেশের ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলসমূহের মধ্যে সার্বিক বিবেচনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখা ১ম রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে এবং সেনাপ্রধানের ট্রফি প্রাপ্ত হয়।
২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব অর্থায়নে একটি ফটক নির্মাণ করে তার বামপাশে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ও মুক্তিযুদ্ধ এবং ডানপাশে আবহমান বাংলার সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা সম্বলিত টেরাকোটা সংযোজন করে ফটকটিকে আকর্ষণীয় করে তোলা হয়। ১০ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে এ ফটকটির শুভ উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানের তদানীন্তন প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, এসপিপি, এনএসডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জিওসি, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, ঘাটাইল এরিয়া।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২-এ অত্র প্রতিষ্ঠান উপজেলা ও জেলা পর্যায় শ্রেষ্ঠ কলেজ হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হন। অন্যান্য বিষয়ের প্রতিযোগিতায় উপজেলা পর্যায়ে ২২টি ইভেন্টে ১ম স্থান, জেলা পর্যায়ে ৪টি ইভেন্টে ১ম স্থান, বিভাগীয় পর্যায়ে ০১টি ইভেন্টে (জারিগান-দলীয়) ১ম স্থান এবং জাতীয় পর্যায়ে জারিগান (দলীয়) ২য় স্থান অর্জন করে।
০৭ নভেম্বর ২০২২ তারিখে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ হুমায়ূন কবীর, এসইউপি (বার), এসপিপি, পিএসসি প্রতিষ্ঠানের লোগো পরিমার্জনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লেঃ কর্নেল মোঃ ফেরদৌস-উর রহমান খান, ইঞ্জিনিয়ার্স কমিটির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লোগোটি পরিমার্জন করে একটি নতুন লোগো তৈরি করেন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, ১৯ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার, ঘাটাইল এরিয়া ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে নতুন লোগো উম্মোচন করেন।
ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ অত্র অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। আগামীতে শিক্ষার্থীদেরকে আরও মানবিক, বিজ্ঞানমনস্ক ও চিন্তা-চেতনার জড়তা কাটিয়ে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।